ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত হয়েছেন ২৫ জন। শনিবার (৩ মার্চ) বিকেল থেকে রোববার (৪ মার্চ) রাত পর্যন্ত এ দুদিনে ২৫ জন আহত হন। তার মধ্যে দুজন মধ্যবয়সী নারী, বাকি সবাই ৩ থেকে ১০ বছরের শিশু।

আক্রান্তদের অধিকাংশই গৌরীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে হঠাৎ করেই কুকুরের কামড়ে আহত রোগী আসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে থাকে।

শনিবার আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন পৌর শহরের সতিষা মহল্লার নুরুল হকের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (১০) ও জহিরুল ইসলামের মেয়ে জিনিয়া (৫), পশ্চিম দাপুনিয়া মহল্লার পায়েল আহম্মেদের ছেলে রাফি (৫) ও জায়েদুল ইসলামের স্ত্রী রুনা আক্তার (৩০), সাতুতী গ্রামের ফারুকের মেয়ে ঝর্ণা (৯) ও ইসমাঈল (৬), পৌর এলাকার জান্নাতুল (১৪) ও সামান্থা (৭), মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের বাবুলের স্ত্রী রুনা (৩২)।

রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন পৌর এলাকার মধ্য বাজার মহল্লার সাধন পালের স্ত্রী অঞ্জনা, শহিদুল্লাহর ছেলে আরিয়ান (৪), বেকারকান্দা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে সিয়াম (৩), জায়ান (৫), পৌর শহরের ঘোষপাড়া মহল্লার সুমনের ছেলে সাঈম (৮), সরকারপাড়া মহল্লার চয়ন সরকারের ছেলে কৃষ্ণ, লিটনের ছেলে অরণ্য (৭), আনোয়ারের ছেলে রফিক (৬), শুভর ছেলে শিমুল (৬)।

এ ছাড়া পৌর শহরের বালুয়ারাপাড়া মহল্লার তিনজন, সতিষা মহল্লার দুই শিশু, শালিহর গ্রামের দুজনকে কুকুরে কামড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত ছাগল ও হাঁস-মুরগি কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছে।

গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজেন্দ্র দেবনাথ বলেন, কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যার বেশির ভাগই শিশু। তারা জলাতঙ্কের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গৌরীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. হারুন অর রশিদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কুকুরগুলো অসুস্থ। এসব কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কের আশঙ্কা অনেক বেশি। পৌরসভার সহযোগিতা পেলে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তত আছি।

গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। কুকুরের কামড়ে পৌর এলাকার মানুষেই বেশি আহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ