ঢাকা, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬

বেইলি রোডে পুড়লো মা-মেয়ের স্বপ্ন

প্রকাশনার সময়: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৯
পোল্যান্ড প্রবাসীর স্ত্রী রুবি ও কন্যা বিয়াঙ্কা। ছবি- নয়া শতাব্দী

মা-মেয়ের স্বপ্ন ছিলো তারা পোল্যান্ড যাবেন। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ! স্বপ্নের দেশ পোল্যান্ড যাওয়া হলো না হবিগঞ্জের মা-মেয়ে রুবি রায় (৪০) ও বিয়াঙ্কা রায়ের (১৭)। তাদের সেই স্বপ্ন পুড়ে গেছে রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মা রুবি রায় ও মেয়ে বিয়াঙ্কা রায় নিহত হয়েছেন।

নিহত রুবি রায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বানেস্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড প্রবাসী। তার স্ত্রী রুবি রায় ও মেয়ে বিয়াঙ্কা রায় ঢাকায় বসবাস করতেন। পোল্যান্ডে স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এরইমধ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেন মা-মেয়ে। শুক্রবার রাতে উত্তম রায়ের পোল্যান্ড থেকে দেশে এসে স্বজনদের সঙ্গে কিছুদিন থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পোল্যান্ড যাওয়ার কথা।

পূর্বপ্রস্ততি অনুযায়ী, মা ও মেয়ে বাসা থেকে কেনাকাটা করতে বের হন। রাতের খাবার খেতে তারা বেইলি রোডের একটি হোটেলে যান। সেখানে গিয়ে আর ফেরা হয়নি তাদের। অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে যায়।

উত্তম রায়ের বড় ভাই বিষ্ণু রায় বলেন, আমার ভাই ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৯৬ সালে কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখানেই ফিলিপাইনের নাগরিক রুবির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে রাজধানীর মালিবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম হয়। দুই বছর আগে উত্তম রায় পোল্যান্ড যান। কিছুদিনের মধ্যে পরিবার নিয়ে পোল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল তার।

উত্তম রায় পোল্যন্ড থেকে দেশে ফিরে শনিবার (২ মার্চ) স্ত্রী রুবি ও কন্যা বিয়াঙ্কার মরদেহ নিয়ে মাধবপুরের বানেশ্বর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন বলেও জানান তিনি।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ