ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬

ভিজিডির ‘খাবার অযোগ্য’ চাল সরবরাহের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩ | আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিডির বরাদ্দকৃত খাবার অযোগ্য চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিম্নমানের চাল সরবরাহ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের ভিজিডির (দুস্থ ভাতার কার্ডের বিপরীতে) চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রায় ১৯০ মেট্রিক টন চাল ইউনিয়নগুলোতে সরবরাহ করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যগুদাম থেকে খাবার অযোগ্য পোকাযুক্ত (হাতিয়া পোকা) দুই বছরের পূর্বের পুরাতন চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলার বুড়াবুড়ি, ধরনীবাড়ী, তবকপুর ও বজরা ইউনিয়নে এই চাল সরবরাহ করা হয়েছে। ৩০ কেজি চালের বস্তার ভিতরে ও বাইরে বাসা বেঁধেছে হাতিয়া পোকা। চালগুলো পুরাতন হওয়ায় ইতোমধ্যেই সেগুলোতে পাউডার (ডাষ্ট) দেখা দিয়েছে। যা খাবার অযোগ্য ও নিম্নমানের।

খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, ভিজিডির চাল সরবরাহ করার জন্য জেলা সদরের সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ট্রাকের মাধ্যমে এই চাল উলিপুর খাদ্যগুদামে সরবরাহ করা হচ্ছে।

ট্রাকচালক ইয়াছিন আলী (৬৫) বলেন, কুড়িগ্রাম সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৬২৯ বস্তা চাল উলিপুর গুদামে এনেছি। চালগুলো খাবার অযোগ্য। এই চালগুলো মানুষ খেতে পারবে না।

গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান জানান, নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চালগুলো আমি দেখেছি। এই কারণে চাল নিতে গিয়ে ফেরত এসেছি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ইউনিয়নে এই নিম্নমানের চাল সরবরাহের কথা স্বীকার করে বলেন, চালগুলো উলিপুর খাদ্যগুদামের ক্রয়কৃত নয়। এছাড়া চালগুলো ১ বছর পূর্বের। এ কারণে একটু সমস্যা হতে পারে।

বস্তার ভিতরে ও বাইরে হাতিয়া পোকা, চাল ডাষ্ট হওয়াসহ খাবার অযোগ্য চালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সেগুলো স্বীকার করে বলেন, যেগুলো চালের বস্তার সমস্যা আছে, তা ফেরত পাঠানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চাল সরবরাহের কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা খাদ্য বিভাগের সাথে কথা হয়েছে। খারাপ চাল ফেরত নিয়ে ভাল চাল সরবরাহের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ