চাঁদপুরের কচুয়ায় গবাদি পশুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চক্রা মুন্সি বাড়ির নাসির উদ্দিন মিন্টুর খামারে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে গেলে খামারের মালিক নাসির উদ্দিন মিন্টু জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে পাশ্ববর্তী বাড়ির আলমগীর ও তার ছেলে ওমর ফারুক রুবেল দলবল নিয়ে শুক্রবার রাতে আমার ছাগলের খামারের বাইরে থেকে তালা দিয়ে খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং খামারের পাশে মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। তালাবদ্ধ ঘরের ভিতর থেকে আগুন দেখতে পেয়ে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক কচুয়া থানা পুলিশকে অবগত করলে এসআই মাহাদী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুভাষ ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ হোসেন মুন্সি হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে আমার চাষ করা ঘাসের জমিতে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে আলমগীর হোসেন গং আমাকে মারধর ও গবাদিপশুর ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দেয়। আমি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
স্থানীয় অধিবাসী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, সমাজ সেবক জাকির হোসেন, শামসুল আলম মুন্সিসহ অনেকেই জানান। খামারের পাশেই ঘাস চাষ করা জমিতে গরু বাধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিন মিন্টুর সাথে আলমগীর হোসেন গংদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। নাসির উদ্দির মিন্টুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নিন্দনীয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঘটনার বিষয়ে আলমগীর হোসেনের বাবা অহিদুল ইসলাম জানান, আমার বাড়ির পাশে ঘাসের জমিতে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মিন্টুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হারুন অর রশিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ