আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় রাসেল মাহমুদ মন্টু বেপারী নামে এক হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় নিহতের মাদরাসায় পড়ুয়া ১০ বছর বয়সী ছেলে মুসা কলিমুল্লাহ ও ভাতিজা মোটরসাইকেল চালক বাবু বেপারীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত বাবু বেপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের চরদুপুরিয়া সাকিম আলী মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ভোলাই মুন্সী কান্দি গ্রামের রাসেল মাহমুদ মন্টু বেপারীর সঙ্গে একই এলাকার চরদুপুরিয়া সাকিম আলী মাদবর কান্দি গ্রামের এমদাদ মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ২০২০ সালে রিয়াজ নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা
হয়েছিল। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন মন্টু বেপারী।গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাজিরাহাট বন্দর বাজার থেকে মন্টু বেপারী, ছেলে মুসা কলিমুল্লাহ ও তার ভাতিজা বাবু বেপারী মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা চরদুপুরিয়া সাকিম আলী মাদবর কান্দি এলাকায় পৌঁছলে এমদাদ মাদবর ও তার লোকজন তাদের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করলে মন্টু বেপারী পাশের মালেক মাদবরের ঘরে প্রবেশ করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এসময় ওই দুর্বৃত্তরা মালেক মাবদরের ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মন্টু বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত বাবু বেপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাগিনা ফারুক সরদার বলেন, বিয়ে বাড়ি থেকে বাড়িতে ফেরার পথে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এমদাদ মাদবর ও তার লোকজন আমার মামাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। যারা আমার মামাকে হত্যা করেছে আমি তাদের সকলের ফাঁসি চাই।
ফারুক সরদারের স্ত্রী নিশি আক্তার বলেন, মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে প্রথমে মন্টু বেপারী ও বাবু বেপারীকে কোপ দেওয়া হলে তারা আত্মরক্ষার জন্য মালেক বেপারীর ঘরে ঢুকে যায়। পরে ঘরের দরজা ভেঙে তাদের কোপানো হয়। যারা এমন নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করে তাদের ফাঁসি চাই।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আধিপত্য বিস্তারের জের ধরেই মন্টু বেপারী নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে-সাথেই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। মামলা হলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ