বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সম্প্রীতি বাঙালি সংস্কৃতির মূল অনুষঙ্গ: ভারতীয় হাইকমিশনার

প্রকাশনার সময়: ০১ মার্চ ২০২৪, ২১:১৩

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, আবহমান কাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। পারস্পরিক সখ্য ও সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বাঙালি সংস্কৃতির মূল অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাটায় মহাসমারোহে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম জন্ম-মহোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সৎসঙ্গ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্মদিবস উপলক্ষে এ মহোৎসবের আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী উৎসবে হাজারো রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ডা. টিপু মজুমদার ও ডা. অজয় ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় চিকিৎসা সম্মেলনে যোগ দেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিতাই প্রসাদ দত্ত, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রতীক চৌধুরী, ডা. সৌমেন চৌধুরী, ডা. সৌরভ সাগর, ডা. প্রবাল চক্রবর্তী, ডা. বিউটি পাল নন্দী, ডা. লাবনী দে, ডা. সুদীপ চৌধুরী, ডা. মৃত্তিকা দত্ত, ডা. স্মরণ কর, ডা. টিপু মজুমদার, ডা. অজয় ভট্টাচার্য্য ও ডা. সুকুমার নন্দী। ভক্তদের প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে মহোৎসবে।

সকালে মাঙ্গলিক বেদ পাঠ ও ঊষা কীর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপী মহোৎসবে চিকিৎসা সম্মেলন ও চিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও মাতৃসম্মেলন, শিশু-কিশোরদের নিয়ে আয়োজিত ও পরিচালিত সৎসঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান, সাধারণ সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দের সভাপতিত্বে বিকেলে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ রানা দাশ গুপ্ত, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সহ সম্পাদক সুব্রত আদিত্য, নটো কিশোর আদিত্য, তিমির সেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সনত কুমার ঘোষ, চন্দন ভট্টাচার্য, প্রকৌশলী বিজয় কিষান।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রুনু মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটের শিক্ষক প্রফেসর ড. উদিতি দাশ, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সভাপতি তিমির সেন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর আদিত্য, সহ সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দে, ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম- মহোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী সনৎ কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দাশ বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সনাতন ধর্মের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ যিনি ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার অদূরে পদ্মানদীর তীরে হিমাইতপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। অনুকূলচন্দ্রের পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাক্ষ্মণ। তার জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন স্বতীসাধ্বী রমনী। তিনি উত্তর ভারতের যোগীপুরুষ শ্রী শ্রী হুজুর মহারাজের শিষ্য। কেউ তাকে বলতেন ‘প্রভু’ আবার কেউ একধাপ এগিয়ে বলতেন অনুকূল আমাদের রাজা ভাই। ঠাকুর অনুকূলচন্দের আধ্যাত্মিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে ভক্তরা এসে তা শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। ঠাকুর অনুকুল চন্দের প্রতিষ্ঠিত 'হিমাইতপুর সৎসঙ্গ আশ্রম' উপমাহাদেশে সুপরিচিতি লাভ করে। মহাত্মা গান্ধী এই সৎসঙ্গের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করে ভূয়শী প্রশংসা করেছিলেন। ১৯৬৯ সনের ২৭ জানুয়ারি ৮১ বছর বয়সে তারই প্রতিষ্ঠিত আশ্রম ভারতের বিহারের দেওঘরে দেহ ত্যাগ করেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ