রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাঈম নামের বরগুনার এক যুবক নিহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের মাত্র তিনদিন আগে নাঈম কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি নেন। তবে চাকরি করে হাসি মুখে নয়, লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন এই যুবক।
অভাব অনটনের পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ঢাকায় পাড়ি জমান নাঈম। ইন্টার পাশ করে অনার্সে ভর্তির টাকা না থাকায় কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি নেন তিনি। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মাসহ পাগল স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ছাদে অবস্থান নেন নাঈম। এবিষয়টি মোবাইলে পরিবারকে জানায়। এরপর থেকেই নাঈমের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আজ সকালে তার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন পরিবারের সদস্যরা। বেলা ৪টার দিকে নাঈমের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। বিলাপ করতে করতে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন এই যুবকের মা লাকি বেগম। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম।
বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মো. নান্টু মিয়া ও মোসা. লাকি বেগমের ছেলে নাঈম। অভাব অনটনের হাত থেকে পরিবারকে বাঁচাতে নিজের লেখাপড়া বন্ধ করে কয়েকদিন আগে ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন নাঈম।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ