ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘পোলাডা মইরা গেল, আমার সব শেষ হয়ে গেল’

প্রকাশনার সময়: ০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

‘আমার সব শেষ হয়ে গেল, আমার পোলাডা মইরা গেল, আমার আর কিছুই রইলো না।’ ছেলে মেহেদী হাসানকে হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন পাগল প্রায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের আয়নাল মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালেও বাবাকে ফোন করে পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র তৈরি করতে বলেন মেহেদী হাসান। কিন্তু রাতেই রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন তিনি। বিদেশেও যাওয়া হলো না এই যুবকের।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে মেহেদীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে সেখানে ভিড় করেন শতশত মানুষ।

এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। মা ও বোন মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় বাবা আয়নাল মিয়া। অন্যদিকে নিজ চোখে বড় ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ছোট ভাই ইসরাফিল। দুই ভাই একই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন।

বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই গতকাল ফোন দিয়ে বলছে, তুমি বাবার বাড়ি যাও আমি আসবো। আমার সেই ভাই আর এলো না।’

কান্নারত সুমাইয়া আক্তার আরও বলেন, ‘আমার ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতো। তার আয় দিয়েই সংসার চলতো। মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পাইতো। আজকে আসার কথা ছিল, আর আসলো না আমার ভাই।’

পাগল প্রায় বাবা আয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল, আমার পোলাডা মইরা গেল, আমার আর কিছুই রইলো না।’

স্থানীয় নুরুল ইসলাম বলেন, মেহেদী খুব ভালো ছেলে ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকাবাসী খুবই মর্মাহত।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, মেহেদীর পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় থাকবে। এই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ