রাজশাহীতে কমলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। ভারত থেকে আনা বিভিন্ন জাতের কমলার চারা এখন রাজশাহী নগরীর নার্সারিগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। ফলে লোভনীয় ফল কমলা চাষে নতুন আগ্রহ তৈরী হয়েছে নগরবাসীর। মুলত তিন জাতের কমলা চাষ বেশি হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে।
রাজশাহী নগরীর পোস্টাল একাডেমির সামনে অবস্থিত লিজা নার্সারির মালিক তাইজুল ইসলাম নয়া শতাব্দীকে জানান, প্রতি বছরই নার্সারি থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক কমলার চারা বিক্রি হয়। নগরীরসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে লোকজন আমার নার্সারি থেকে কমলার চারা ক্রয় করে থাকেন।
তিনি বলেন, তিন জাতের কমলা চারা বিক্রি করে থাকি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামি, দার্জিলিং এবং নাগপুরি। ভিয়েতনামি জাতের কমলার চারার দাম প্রতি পিচ সাত’শ থেকে সাড়ে সাত’শ টাকা, দার্জিলিং জাতের কমলার চারার দাম পড়ে তিন’শ থেকে সাড়ে তিন’শ টাকা এবং নাগপুরি জাতের কমলার চারা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে সাড়ে তিন’শ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দার্জিলিং জাতের কমলার চারাই বেশি বিক্রি হয়। ফলও ভালো হয়। এই ধরণের কমলা গাছে ফল আসতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। ফল পরিপক্ক হতেও প্রায় বছর খানেক সময় লাগে। শীত মৌসুমে গাছে ফুল আসে। কমলার চারা গাছ সংগ্রহ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লিজা নার্সারির ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে কমলার চারাগাছ আনা হয়।
রাজশাহীতে জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে শুরুতে কম চারা আনলেও এখন কমলার চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি মৌসুমে বহু কমলার চারা বিক্রি হয়। এখন নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল ও ফলের চারার পাশাপাশি কমলার চারা গাছের কোনো কমতি নেই। চাহিদা অনুয়ায়ি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়ার বাসিন্দা এমএ কাইউম লিজা নার্সারি থেকে দার্জিলিং জাতের কমলার চারা ক্রয়কালে জানতে চাইলে তিনি নয়া শতাব্দীকে বলেন, মেয়ে-জামাই বাড়িতে উপহার হিসেবে কমলার চারা পাঠাচ্ছি। রাজশাহীতে অনেকের বাড়িতে কমলা চাষ হচ্ছে। তাই জামাই বাড়ি নওগাঁতে কমলা চাষের জন্য এখান থেকে চারা ক্রয় করেছি। আশা করছি, সেখানেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ