মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় শৌচাগারের পাশ থেকে মাবিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক মেস পরিচালিকার মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মরদেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মাবিয়া খাতুন খুলনার তেরোখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়নের হিন্দু কুশলা গ্রামের আব্দুল গাফফার মোল্লার স্ত্রী। তিনি ভবানীপুর গ্রামে আবুল কাশেমের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি মেস পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছ।
মাবিয়া খাতুনের স্বামী আব্দুল গাফফার মোল্লা জানান, ২০১৩ সালের দিকে জীবিকার তাগিদে তারা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় চলে আসেন। স্থানীয় আবুল কাশেমের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি মেস পরিচালনা করতেন তার স্ত্রী মাবিয়া খাতুন। বার্ধক্য জনিত কারণে অন্য কোনো কাজ করতে না পারায়, স্ত্রী মাবিয়া খাতুনকে সহযোগিতা করতেন তিনি।
সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৩০/৪০ শ্রমিক তাদের মেসে খাবার খেতো জানিয়ে নিহতের স্বামী বলেন, তবে খাবার খেয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা না দেওয়ায় বিল্লাল নামে এক শ্রমিকের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাকবিতণ্ডা হয় মাবিয়া খাতুনের। এসময় বিল্লাল টাকা দেবে না জানিয়ে উল্টো মাবিয়া খাতুনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার কিছু সময় পরে পারিবারিক কাজকর্ম শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন তারা।
প্রতিদিন ভোরে মাবিয়া খাতুন মেসে রান্না করতে যান উল্লেখ করে আব্দুল গাফফার মোল্লা বলেন, তবে আজকে না যাওয়ায় মেসের লোকজন ভোর ৫টার দিকে তাকে ডাকতে আসে। এ সময় তাকে ঘরে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাদের বসতঘরের অদূরে একটি শৌচাগারের পেছনে মাবিয়ার মরদহ দেখতে পাই।
গামছা দিয়ে মরদেহটির মুখ বাঁধা ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট জাতীয় কোনো কিছুর আঘাত রয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দেন তিনি।
বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে দোষীদের বিচার দাবি করেন আব্দুল গাফফার মোল্লা।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজিব খাঁন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ