লক্ষ্মীপুরের রায়পুর টিসি রোডে হালিমা (রা.) মহিলা মাদরাসা সংলগ্ন শরীফ মিয়াজির বাস ভবনের নিচতলায় দেহকর্মীর ভাড়া বাসা থেকে ৩ যুবকসহ ৫ জনকে গেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশ শরীফ মিয়াজির বাসা থেকে প্রথমে ৩ যুবককে গেপ্তার করেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে ৬ নারী যৌনকর্মী থাকলেও ডিবি পুলিশ নারী যৌনকর্মীদের তৎক্ষনাৎ গেপ্তার না করলে সাংবাদিকদের একটি বিচক্ষণ টিম রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদারকে বিষয়টি অবগত করান।
ইয়াসীন মজুমদার বলেন, ‘ডিবি পুলিশ রেড দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই এবং কেন তারা নারী যৌনকর্মীদের গেপ্তার করেনি তাও জানি না বলে তৎক্ষনাৎ তিনি ডিবি পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেনকে বিষয়টি জানান। ডিবি পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন পুনরায় ডিবি পুলিশের টিম পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই নারী যৌনকর্মীকে গেপ্তার করেন।
ডিবি পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. নাছির চৌধুরী (৩০), লোকমান হোসেন (২৫), মো. শরীফ হোসেন (২৪), জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫), জারা ইসলাম তুহা (১৮)।
এবিষয়ে ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন নয়া শতাব্দীকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক যৌনকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ যুবক ও এক নারীকে গেপ্তার করা হয়।
সেখানে আরও যারা যৌনকর্মী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং সঙ্গে মহিলা পুলিশ না থাকায় প্রথমে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, তবে সাংবাদিকরা যখন রায়পুর থানার ওসিকে আরও যৌনকর্মীদের বিষয়ে জানান, তৎক্ষণাৎ আমি পুনরায় সেখানে একটি টিম পাঠালে তারা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও দুই নারী যৌনকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান ওসি শাহাদাত হোসেন।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক শরীফ মিয়াজির কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে যৌনকর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মানুষ বিপদে না পড়লে কী কেউ আর এই লাইনে আসে?
নয়াশতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ