ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব, ১১ বছরেও মেলেনি ৪ পুলিশ হত্যার বিচার

প্রকাশনার সময়: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

২৮ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মানুষের কাছে ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। এইদিনে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে দিনব্যাপী তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সশস্ত্র বাহিনী বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে চার পুলিশ সদস্যসহ একজন সাধারণ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার কাজ শেষ হয়নি।

তথ্য মতে, বিগত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির এই দিনে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। পিটিয়ে হত্যা করে তদন্ত কেন্দ্রের তিন পুলিশ সদস্যকে। বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আরও এক জিআরপি সদস্যকে। শুধু তাই নয়, সুন্দরগঞ্জের রেলওয়ে প্রকৌশল অফিস, গোডাউন, ইসলামশীপ বিল্ডার্স, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসসহ আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।

ঘটনার পরদিন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন জামায়াত এমপি মাওলানা আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ। কিন্তু মামলার দীর্ঘ ১১ বছরেও বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে মামলার সাক্ষীসহ স্থানীয়দের মধ্যে। দ্রুত বিচার কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

মামলার প্রধান সাক্ষী আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলসহ স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা হতাশ। পুলিশ হত্যার মতো এমন ঘটনার বিচার পেতেও এতো সময় লাগলে সাধারণ মানুষের কি হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের সাবেক পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। এছাড়া সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়নি। আশা করছি, দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ করে মামলটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে আসামিদের গ্রেপ্তার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের হয়। জামায়তের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজসহ ২৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ পর্যন্ত ৭৪ সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ