কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের ১৬নং খাঁড়ঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পাঠদানের উপযোগী পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের টিনশেড ভবনের দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গা ফাটল ধরেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১৯৩৯ সালে খাঁড়ঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ৬৫ জন ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান দিচ্ছেন দুইজন পুরুষ শিক্ষক ও ৪ জন শিক্ষিকা।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের টিনশেড ভবনটি জর্জরিত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, বিভিন্ন জায়গা ফাটল ধরেছে দেওয়ালে, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর। তাই ভবনটি পূর্ণ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনার করার উপযুক্ত পরিবেশ করতে নতুন ভবনের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি।
অন্যদিকে, ছাত্র-ছাত্রী কম থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, করানোর সময় বন্ধ থাকায় আশপাশে নূরানী ও হাফেজি মাদরাসায় শিশুদের ভর্তি করে দেন অভিভাবকরা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের এ অবস্থার জন্য ভয়ে ছাত্র-ছাত্রী পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফ রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ভবনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা এস্টিমেট না দিলে আমাদের কিছু করার নেই।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ