অবসরের মাত্র ৫দিন বাকি! এরমধ্যে তড়িঘড়ি করে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য উপজেলায় গিয়ে সভাপতির অনুপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন নীলফামারীর ডোমারের পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিতে হয়।
মাদরাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। নিজ প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে পাশের উপজেলা কিশোরগঞ্জের একটি বালিকা মাদরাসায় গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেন পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম রিয়াজুল ইসলাম।
অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের চলতি মাসের ২৮ তারিখে অবসরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই মাদরাসার সভাপতি দুলাল হোসেন।
সরজমিনে পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ। বাইরে কথা হয় মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে।
তিনি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টায় পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদরাসার তিনটি পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা কিশোরগঞ্জের একটি বালিকা মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম রিয়াজুল ইসলাম, ডিজির প্রতিনিধি ঢাকা আলিয়া মাদরাসার একজন সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক প্রতিনিধিসহ তিনজন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মাদরাসার সভাপতি দুলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন না।
সভাপতি দুলাল হোসেন জানান, নিয়োগ পরীক্ষার দিন আমি অসুস্থতার কারণে ওই নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলাম না। সেখানে লিখিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। মাদরাসার অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষা না নেওয়ায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া ও নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যত্র পরীক্ষা নেওয়ার বিধান আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যত্র নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা, তা আমার জানা নাই। তবে অসুস্থতার কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলাম না। তা ছাড়া গত তিনমাস থেকে অধ্যক্ষ মাদরাসায় অনুপস্থিত বলে শিক্ষকরা জানান।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ একেএম রিয়াজুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ