কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বোরো মৌসুমে পার্চিং দিয়ে ধানখেতের পোকা দমনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্ষতিকারক পোকা দমন করতে পারছেন কৃষকরা। এতে পোকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাচ্ছে।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীরকাটি হারী গ্রামে ধানখেতে পোকা দমনে কৃষককদেরকে পার্চিং সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কৃষকরাপোকা দমনে গাছের ডাল, বাঁশের কঞ্চি পুতে রেখেছে এবং ওইসব ডালে ও কঞ্চিতে পাখিরা বসে বিভিন্ন পোকামাকড় ধরে খাচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রনি বীর কাটিহারী গ্রামে কৃষকদেরকে মাঠে মাঠে পার্চিং পদ্ধতি শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন।
উপজেলার ব্লক সুপারভাইজার কৃষি উপ-সহকারী জাহিদ হাসান রণির মতে ,পার্চিং একটি কার্যকর পোকা দমন ব্যবস্থা। এতে কৃষক যেমন স্বল্প পরিশ্রমে লাভবান হয়। এই পদ্ধতিটি এলাকার প্রতিটি কৃষকরা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছেন। এতে এলাকার কৃষকরা উপকারি ও অপকারি পোকা সহজে চিনতে পারছে। কৃষকেরা যে কোনো পোকা দেখলেই কীটনাশক দিতে হবে এই ধারণা যে ভুল তা সহজেই বুঝতে পারছে।
উপজেলার চরহাজিপুর গ্রামের চাষি কাশেম, বীরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ধানখেতে বাঁশের কঞ্চিতে পাখি বসে পোকামাকড় ধরে খায়। এতে খেতে পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমে গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাখি পার্চিং এ বসে একটি ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০ থেকে ১৫০টি পোকা দমন হয়। কারণ একটি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০ থেকে ১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পার্চিং জমির আইল থেকে ধান খেতের মাঝামাঝি অবস্থায় দেয়াই ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম শাহজাহান কবির জানান, জমিতে পার্চিং করলে পাখি সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। পোকা বংশ বিস্তার করতে পারে না। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে বহুলাংশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ