চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা এক ছাত্রীর চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডে ‘শিক্ষাশালা’ কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসানের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত হামিদ মোস্তফা জিসান (২১) কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কয়েক দফা শারীরিক সম্পর্কের ফলে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘুমের ওষুধ খেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তির পর কিশোরীর বাবা চান্দগাঁও থানায় ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় ওই কিশোরীর কোচিংয়ের শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসানকে আসামি করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এরপর একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে। তাই জবানবন্দি নেওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই শিক্ষার্থী কয়েকমাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে। এই সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মামলার আসামি জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারে ধর্ষণ করে। এ সময় আপত্তিকর ছবিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে এবং তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।
ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্কের ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঘুমের ওষুধ খায় সে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি পরিবারের কেউই জানতো না। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে থানায় মামলা দায়ের করে পরিবার।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ