কক্সবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসছে মৃত মা কচ্ছপ। এর মাঝে উপকূলে ৫৬৬টি ডিম দিয়ে সাগরে ফিরে গেছে পাঁচটি কচ্ছপ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম লিখেছেন, সোনারপাড়া সৈকতের রেজুখাল মোহনার বালিয়াড়িতে একটি অলিভ রিডলি প্রজাতির কচ্ছপ ১০১টি ডিম দিয়ে সুস্থ অবস্থায় সমুদ্রে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া শামলাপুরে দুটি কচ্ছপ ২৪০টি, মাথাভাঙ্গায় একটি কচ্ছপ ১১৫টি, উত্তর শীলখালীতে একটি কচ্ছপ ১১০টি ডিম দিয়েছে। পাঁচটি কচ্ছপ মোট ৫৬৬টি ডিম দিয়েছে।
এগুলো কোডেক-ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রজেক্টের অধীনে সংরক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেছেন, এত মৃত কচ্ছপের ভিড়ে পাঁচটি কচ্ছপ ডিম দিয়ে সাগরে ফেরা সুখবর।
জানুয়ারির শুরু থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ১০৩টি মৃত মা কচ্ছপ। এর মধ্যে ১১ দিনে পাওয়া গেছে ৫৯টি মৃত মা কচ্ছপ। ১০৩টি মৃত কচ্ছপের মধ্যে ৭ শতাধিক ডিম পাওয়া যায়।
বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল জানান, মৃত কচ্ছপ থেকে পাওয়া এসব ডিম বাচ্চা ফোটানোর জন্য মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। সাগরপাড়ে পাওয়া প্রতিটি কচ্ছপই জালের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। এরা উপকূলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের ফেলে দেওয়া জালের রশিতে পেঁচিয়ে আঘাত পেয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দীকে তিনি বলেন, এখন মা কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মা কচ্ছপ উপকূলে এসে ডিম দেয়। সাগরপাড়ের এসব ডিম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বাচ্চা ফোটানো ও সাগরপাড়ে ছেড়ে দেওয়ার যাবতীয় কাজ করা হয় কোডেক-ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রজেক্টের অধীনে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ