কুষ্টিয়ায় আদালত থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসিকুজ্জামান শুভ (৩৩) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

আহত আসিকুজ্জামান শুভ সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাচারা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের ছেলে।

এ ঘটনায় আহত যুবকের মা মোছা. আফরোজা সুলতানা বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় (ইবি) থানায় ২১জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১৫জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান।

গ্রেফতাররা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাচারা গ্রামের মৃত তেজারত মন্ডলের ছেলে লাট্টু খাঁ (৬৫), একই এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০), মৃত আ. গফুর মন্ডলের ছেলে কামাল মন্ডল (৪৫) ও মৃত মসলেম উদ্দিন মোল্লার ছেলে আজাদুর রহমান (৫২)।

জানা যায়, রোববার বেলা ১টার দিকে আসিকুজ্জামান শুভ একটি মামলার হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিল। রাজ্জাক মোড়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন তার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই, প্রধান আসামী লাট্টু খাঁর নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উজানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লার সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবিরের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি মামলায় আসামি হয়েছেন দুই পক্ষের সমর্থকরা।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, আহত যুবকের চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান জানান, সামাজিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবকের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/টিএ