ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬

সীমান্তে হত্যা ও বিদেশি আগ্রাসন বন্ধে প্রতীকী লাশের মিছিল

প্রকাশনার সময়: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৭

সীমান্তে হত্যাও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া লাশের মিছিল আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২টায় হানিফ বাংলাদেশির নেতৃতে রাজশাহী সাহেব বাজারে আসলে পুলিশে বাধা দিয়ে প্রতীকী লাশ, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে যায় এবং হানিফ বাংলাদেশিকে লাঞ্ছিত করে।

লাশের মিছিল বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা উপজেলা প্রদক্ষিণ করে যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পুলিশের বাধায় কর্মসূচি বিরতি ঘোষণা করছেন হানিফ বাংলাদেশি। কয়েকদিন পরে আবার লাশের মিছিল শুরু করবেন।

কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সবসময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশি বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করেছে। ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে মর্টারশেলে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালেও আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি।

হানিফ বাংলাদেশি আরও বলেন, বাংলদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে সব সময় বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর চোরাকারবারি। এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করে, তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।

হানিফ বাংলাদেশি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে দলই এসেছে, সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারণে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর খবরদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোনো দেশের আগ্রাসন দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্ম ও কোনো দেশের আগ্রাসন মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচ্ছু করে বাঁচতে চায়।

হানিফ বাংলাদেশি বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচি অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মসূচিতে অন্য ৩ জন হলেন- এনইউ আহমেদ, সৌরভ হোসেন বেলাল, মো আরিফ। নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ