সুযোগ পেয়েও মেরিন ক্যাডেট নটিক্যালে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরা শহরের চা বিক্রেতার ছেলে শামীম কবির নিরবের। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণেই এমন সুখবরেও খুশি হতে পারছেন না। টাকার অভাবে গোটা পরিবারে দেখা দিয়েছে মলিনতার ছাপ।
মেধা তালিকায় ৩৫তম স্থান অধিকারী শামীম কবির নিরব বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মেরিন ক্যাডেট নটিক্যালে ভর্তি হতে প্রয়োজন ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মেডিকেল পরীক্ষাসহ বিভিন্ন খরচ মিলে এখন প্রায় এক লাখ টাকা প্রয়োজন। তবে শামীমের বাবার পক্ষে এককালীন এতগুলো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। তাই মেরিনে ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে তার পরিবার।
সাতক্ষীরা শহরের শিশু হাসপাতালের বিপরীতে শামীমের বাবার ছিদ্দিক মোড়ল চা বিক্রি করেন। এর আগে ২০২০ সালে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন স্কুল থেকে মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ এবং ২০২২ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হোন শামীম। এ ছাড়া ক্লাস ফাইভের সমাপনী পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ এবং জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।
শামীম বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি মেরিন ক্যাডেট ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। এতে মেধা তালিকায় ৩৫তম স্থান অধিকার করেছি। ভর্তি হতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। এ ছাড়া মেডিকেল পরীক্ষাসহ বিভিন্ন খরচ মিলে প্রায় এক লাখ টাকা লাগবে বলে জেনেছি। আমার বাবা একজন চা বিক্রেতা, এত টাকা কিভাবে জোগাড় করবে। তাই আমি ভর্তি হতে পারবো কিনা জানি না।
শামীমের বাবা ছিদ্দিক মোড়ল বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে শামীম বড়। ছেলের সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। ছোট একটা চায়ের দোকানে ৫ জনের সংসার চলে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ পড়াতে গিয়ে ছেলের পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। অনেক কষ্টে প্রতি মাসে সেই টাকা দিসি। বতর্মান বাজারের সকল জিনিসের যে দাম তাতে ৫ জনের সংসার ঠিক মতো চলে না। ভর্তির এত টাকা পাবো কোথায়। কোনো দানশীল ব্যক্তি যদি তার লেখাপড়ার ভার বহন করে কৃতজ্ঞ থাকবো। এ ছাড়া যদি বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমার ছেলে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে আসন শূণ্য ঘোষণা করবে মেরিন একাডেমি। তাই কেউ কোনো দানশীল ব্যক্তি সহায়তা করতে চাইলে এই নম্বরে ০১৭২৭ ০১৩৯৮৪ যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন শামীমের পরিবার।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ