চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৯৮ কেজি গাঁজা ও ২৩ ভরি স্বর্ণসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় একটি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটিয়ারী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- খুলনা জেলার দাউদ শেখের ছেলে মো. হানিফ শেখ সাদ্দাম (৪২), পটুয়াখালী জেলার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রাসেল ফকির (৩৬), বাগেরহাট জেলার খলিল শেখের ছেলে মিজান শেখ (৩২) ও খুলনা জেলার দাউদ শেখের ছেলে সাগর শেখ (২৬)।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে একটি ট্রাক চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভাটিয়ারী এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাকটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া করলে ট্রাকটি ভাটিয়ারী এলাকায় শাহ আমানত ফিলিং স্টেশনের সামনে ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি স্ক্রাব শিপ বেসিন কমেন্টের দোকানে ধাক্কা দেয়। দোকানের অধিকাংশ মালামাল ভাঙে যায়। পরে পিকআপটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় গাঁজা বহনকারী ট্রাকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত স্ক্রাব জাহাজের বেসিন ও কমোডের দোকানদার আনসার জানান, আমার দোকানের বেশিরভাগ মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় চার লাখ আশি হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে সৌদি প্রবাসী বাবুল মিয়া তার পরিবারের জন্য সৌদি আরব থেকে ২৩ ভরি স্বর্ণ পাঠান। এই স্বর্ণ তার সহপাঠী সাইমন উদ্দিনের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একটি স্বর্ণের বার ও ১২টি হাতের চুড়ি ছিল। কিন্তু সাইমন উদ্দিন ২৩ ভরি স্বর্ণ বাবুল মিয়ার পরিবারকে না দিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। পরে বাবুল মিয়ার ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সাইমন উদ্দিনের বাড়ি থেকে ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, পুলিশের পৃথক অভিযানে ৯৮ কেজি গাঁজা ও ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ