চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার ঘরে তিনটি বাঘশাবক জন্ম নিয়েছে। এখনও তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। লিঙ্গ নিশ্চিত হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানা যায়।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাঘিনী জয়া এই তিন শাবক প্রসব করে। তিনটিই হলুদ ডোরাকাটা।

এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গত আট বছরে ১৯টি বাঘের জন্ম হলো। এর মধ্যে দুটি ঢাকা চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়। বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১৭। এর মধ্যে পাঁচটি সাদা বাঘ রয়েছে। চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা রাজ-পরী নামের এক জোড়া বাঘের বংশবিস্তারের মধ্য দিয়ে বাঘের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, শাবক তিনটির মা বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এবং তাদের বাবা বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। জো বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা হতে পরিত্যক্ত হয়। এরপর তাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালনপালন করা হয়। এক বছর লালনপালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অন্য বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসেবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সে নিজের পরিবার তৈরি করল।

প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে সই করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে বাঘটির নাম রাখা হয়েছিল জো বাইডেন। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, মানুষের হাতে লালনপালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা। যার পুরো কৃতিত্ব বাঘ জো বাইডেনের।

১৯৮৯ সালে যাত্রা করা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৭০ প্রজাতির ৫২০টি পশুপাখি রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ