মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ‘নিঝুম বাহিনী’ নামক এক কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিরচর খেলার মাঠে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিঝুম বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে নিঝুম মাত্র ১৯ বছর বয়সেই স্থানীয় বিপথগামী তরুণদের নিয়ে একটি গ্যাং গড়ে তোলে। তার নামে তিনটি হত্যা, মাদক, মারামারি, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১৭টি মামলা আছে।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সাজেদুল ইসলাম মীম (২২) নামে এক যুবককে আটকে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে তার কিশোর গ্যাং। তারপর স্থানীয়দের ওপর তার বাহিনীর একের পর এক অত্যাচারের ঘটনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে নিজ বক্তব্যে নিহত সাজেদুল ইসলাম মীমের মা জেসমিস বেগম বলেন, কেবল তার (নিঝুম) কথা না শোনায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মাঠে সবার সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় মীমকে। এ ঘটনায় আটক হয়ে কিছুদিন জেলে থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিঝুম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আবেদন, আপনারা দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনুন।
আরেক ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করে। অল্পের জন্য আমি প্রাণে বেঁচে যাই। আমার দায়ের করা মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার নিঝুমসহ তার দলের সদস্য আতাউর, সংগ্রাম মোল্লাসহ কয়েকজনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। মীম হত্যা, ফারুক হত্যা ও হানিফ হত্যা মামলায় তারা এজাহার নামীয় আসামি। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বাধ্য হয়ে আজ আমাদের সংবাদ সম্মেলন করতে হলো।
আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে নিঝুম। এমন অসংখ্য নারী তার অত্যাচারের শিকার।’
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ