কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইতিশা আক্তার জিম (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডাকুয়ারকুটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শিশুর মামা জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে ভাগনির মৃত্যুর অভিযোগ করেন। আর তখনই শিশুটির মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।
জানা যায়, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের ডাকুয়ারকুটি গ্রামে ইউনুস আলী জীবনের মেয়ে ইতিশা আক্তার জিম হঠাৎ করে শনিবার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর ঘটনা শুনে নিহত শিশুর মামা রবিউল ইসলামের সন্দেহ হয়। তখন তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহত শিশু জিম রহিমাতুল কোবরা হাফিজিয়া মাদরাসার প্রথম জামাতের শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত শিশুর পিতা ও মাতার মধ্যে ৩ বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই শিশুটি কখনো পিতার বাড়িতে আবার কখনো মামার বাড়িতে থাকতেন। হঠাৎ করে শিশুটির পিতার বাড়িতে মৃত্যুর খবর পেয়ে মামার সন্দেহ হয়। তখন তিনি জরুরি সেবায় ফোন করেন।
নিহত শিশুর পিতা ইউনুস আলী জীবন জানান, জিম কয়েকদিন আগে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে খেলাধুলার সময় শরীরে আঘাত পায়। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করানো হয়। শুক্রবার জিমের শরীরে ব্যথা বেড়ে গেলে তার এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তার কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি বলে দাবি করেন ইউনুছ আলী।
শুক্রবার গভীর রাত থেকে জিম ব্যথায় কাতরাতে থাকেন জানিয়ে ইউনুস আলী বলেন, শনিবার সকালে ওষুধ খাওনোর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে রংপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই দুপুরে হঠাৎ করে তার মৃত্যু হয়। ভাগনির মৃত্যুর খবর শুনে জিমের মামা কি কারণে ৯৯৯ ফোন করেছেন, তা আমার জানা নেই।
নিহত শিশুর মামা রবিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি ৯৯৯ এ ফোন করার কথা স্বীকার করেন। তবে ভাগনির মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ