মাগুরায় শ্রীপুর উপজেলার দোরাননগর গ্রামে গড়াই নদী ভাঙনে গত কয়েক বছরে নদী তীরবর্তী কয়েকটি ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ফসলী ক্ষেত বিলিন হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নদীর পেট থেকে অবশিষ্ট সম্পদ বাঁচাতে গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী মিলে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছেন।

নদী ভাঙ্গন নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছে এই এলাকার মানুষ। আগ্রাসী গড়াই এখনই বুঝি কেড়ে নিলো শেষ আশ্রয়টুকু। সেই দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। গত ৫ বছর বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেকবার নদী রক্ষার দরখাস্ত দিয়েও কোনো ফল না পাওয়ায় নিজেরাই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত বর্ষা মৌসুমে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে। এরই মধ্যে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছে অনেকেই। বাকিরাও আছেন শঙ্কায়।

দোরান নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, প্রতিবছর গড়াই নদীর ভাঙ্গনে দোরান নগর গ্রামের রাস্তা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী ও সমাজের বৃত্তবান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে এবার নতুন করে ইট, বালু, লোহার রড় ও কংক্রিটের ঢালাইয়ের পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে গোটা গ্রাম।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোচ্ছা. মমতাজ মহল বলেন, সমাজে যারা স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসে, তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ