পটুয়াখালীর দশমিনায় ছাগল মরিচের চারা খাওয়ায় মালিককে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হাকিম ফকিরের ছেলে মো. মোস্তফা ফকিরের ঘরের পেছনে মরিচ খেত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই খেতের মরিচ চারা খায় প্রতিবেশী আমির আলী সরদারের ছেলে মো. খোকন সরদারের ছাগল। তাই মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেঁধে রাখেন। খোকন শুক্রবার সকালে ছাগল চাইতে গেলে মোস্তাফা তার স্ত্রী এবং পুত্রবধূ তাকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করেন। পরে খোকনের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করে গায়ের কাপড় টানাহেঁচড়া করে ছিঁড়ে ফেলে। শুধু তাই নয় শিশু দুই সন্তানকে মারধর করেন। খোকনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়।
আহত খোকন সরদার বলেন, মোস্তফা আর আমি পাশাপাশি ঘরে বসবাস করি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাগল নাকি তার মরিচ চারা খেয়েছে। তাই তিনি ছাগল নিয়ে বেঁধে রাখে। আমি সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে গিয়ে জানালে, তিনি আমাকে ছাগল চাইতে বলেন। এরপরে ছাগল চাইতে গেলে আমাকে মোস্তফা, তার স্ত্রী ও পুত্রবধূ মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করি।
খোকনের স্ত্রী বলেন, আমাদের ছোট একটি ছাগলের বাচ্ছা নাকি মোস্তফার খেতের মরিচের চারা খাইছে। আমার স্বামী সকালে ছাগল চাইতে গেলে তাকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এমনকি আমার ছোট শিশু সন্তান ও আমাকেও তারা মারধর করে। আমি তাদের বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিকদার দেলোয়ার বলেন, বিষয়টি জানান পর আমি তাকে ছাগল আনতে বলি। এরপর কি হয় আমাকে জানায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গাছে খোকনকে বেঁধে রাখা হয়েছে। এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনার বিষয় আপনার মাধ্যমে শুনলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ