কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এপিবিএন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে- পাঁচটি ওয়ান শুটারগান, একটি এলজি, ৩৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, আট রাউন্ড গুলির খোসা, চার রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, তিনটি হাতে তৈরি গ্রেনেড, তিনটি বড় পটকা, একটি ওয়াকিটকি সেট, দুইটি বড় ছোরা, একটি গুলতি এবং দুটি লোহার সিকল।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে উখিয়ার জমতলীস্থ ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এ অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএন এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আমির জাফর।
আটক চারজন হলেন- মোহাম্মদ আমিন (২৩), পেটান শরীফ (৪৩), আবুল কাশেম (৩৩) ও সৈয়দুর রহমান (২৫)। তারা উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। সবাই আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে এপিবিএন।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, আরসা সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির জন্য অস্ত্র গোলাবারুদসহ ১৫ নম্বর ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আরসা সন্ত্রাসীরা দৌঁড়ে পালানো শুরু করে। এ সময় চারজনকে আটক করা হলেও আনুমানিক ১০/১২ জন পালিয়ে যান। আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
তারা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো জানিয়ে আমির জাফর বলেন, এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলা করে তাদের সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ