পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আরজবেগী এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জুতা পায়ে শহিদ মিনারের বেদিতে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম মাইনুল ইসলাম রুমি। তিনি উপজেলার আরজবেগী এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গণিত বিভাগের শিক্ষক। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাজানো হয় ওই স্কুলের শহিদ মিনার। সকাল থেকেই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় ওই শিক্ষক মাইনুল ইসলাম রুমি জুতা পায়ে শহিদ মিনারের বেদিতে উঠে ফটোসেশন করেন। পরে ছবিটি তার ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবিটি পোস্ট করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধাঞ্জলির নামে জুতা পায়ে অবমাননা। শিক্ষার্থীদের সাথে একজন শিক্ষকও রয়েছেন। দুঃখিত, আমরা একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারিনি। স্থান: আরজবেগী এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শহিদ মিনার।’
এ ছাড়া মন্তব্যতে লিখেছেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে উনি জুতা পায়ে দিয়ে শহিদ মিনারে কিভাবে ফুলের তোড়া দ্যায় আমার জানা নেই, আর তার স্টুডেন্ট রা তো মাশাল্লাহ।’ এছাড়াও আরো নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষক মাইনুল ইসলাম রুমি কিছু বলতে রাজি নন।
দশমিনা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, শহিদ মিনারে জুতা পায়ে না উঠি। এটা আমাদের শিষ্টাচার। আমরা যুগে যুগে তা মেনে চলে আসছি, যা আমাদের মানা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাওসার আলম মোবাইল ফোনে জানান, আমরা অনুষ্ঠান চলাকালীন কেউ জুতা পায়ে দিয়ে ওঠিনি। এর আগে বা পরে কেউ উঠলে আমার জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি ফেসবুকে দেখেছি, খোঁজ নিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ