বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী সংলগ্ন নীলিমা পয়েন্টে ভাসমান এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (২০ ফেরুয়ারি) সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা দুপুরে মরদেহ ভাসতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দেন। এরপরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) সাইফুজ্জামান বলেন, স্থানীয়রা মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে। তবে এখন পর্যন্ত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। মরদেহের ডান হাত কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন এবং গলায় রশি বাঁধা দেখা যায়। ডান হাতে একটি ব্রেচলেট পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে সাগরে জেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে নিক্ষেপ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই জেলের মরদেহ হতে পারে। তবে তারা আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ মরদেহটি কুপিয়ে হত্যা করা রাশাদের কিনা।
এদিকে, নিহত রাশাদের ভাই মো. তুহিন খান বলেন, আমার ভাই রাশাদের ডান হাতে একটি ব্রেচলেট ছিলো। যদি মরদেহ সাথে ব্রেচলেট থাকে তাহলে তা রাশাদের মরদেহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেরুয়ারি) গভীর রাতে কূলে ফেরার পথে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জেলে রাশাদকে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেন ইব্রাহিম। এসময় ট্রলারের আরেক জেলে জামালকে কুপিয়ে জখম করে নদীতে ফেলে দেন। পরে ট্রলারসহ মাছ লুট করে বিক্রি করতে এসে জনতার হাতে ধরা পড়ে ঘাতক জেলে ইব্রাহিম (৩৮)। এসময় তাকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
নিহত রাশাদ পটুয়াখালীর রাঙাবালির চরমোন্তাজ এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ও লুট হওয়া ট্রলারটির মালিক। অন্যদিকে, ঘাতক ইব্রাহিমের বাড়ি বরগুনার তালতলীর অঙ্কুজান পাড়ায়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ