ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পর্দা নামলো বাণিজ্য মেলার, ৪'শ কোটি টাকার কেনাবেচা

প্রকাশনার সময়: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০১ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৭

মাসব্যাপী আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় মেলার স্থায়ী ভেন্যু - বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন।

এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবার হস্ত শিল্পকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের পাশাপাশি লেদার, জুট, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হস্তশিল্প‘কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। হস্তশিল্পকে এগিয়ে নিতে আগামী বছর আলাদা প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হস্ত তৈরী সামগ্রী নিয়ে মেলায় প্রদর্শনি করতে পারে।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর মেলার আয়োজনে যা ভুল হয়েছে সেগুলো শুধরিয়ে আগামীতে আরও সুন্দর মেলার উপহার দিবো। ২৩ দেশের ব্যবসায়ীরা যাতে মেলায় আসে, সেই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যাতে করে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের পণ্যের আরও প্রসার হয়। এদেশের পণ্য রপ্তানি ঘটিয়ে আমাদের লক্ষ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যপূরণ করা।’

সমাপনী অনুষ্ঠানের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসানসহ অনেকে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘মাসব্যাপী মেলায় বিদেশী ব্যবসায়ীরা আসতে চাননা। আমরা চিন্তা করছি এই মেলাটিতে ঢাকা বাণিজ্য মেলা নাম দিয়ে আগামীতে ৫ দিনের ভিন্ন একটি আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় এফবিবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম সে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে এফবিবিসিসিআই এর সার্বিক সহযোগীতা ও পার্টনারশীপের প্রস্তাব দেন।’

আয়োজকেরা মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা তুলে জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে নির্ধারিত সময়ে মেলা শুরু না হলেও এবার জনগণের সাড়া মিলেছে ব্যাপক। গতবারের চেয়ে ১৫ শতাংশ বিক্রি বেড়ে এবার পণ্য বেচা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকার। তাছাড়া গতবারের চেয়ে ১৭.২৫% রপ্তানি আদেশ বেড়ে এবারের মেলা থেকে বিদেশী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রপ্তানি আদেশ এসেছে ৩৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকার।

এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলে মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসজ্জা ও গৃহস্থালী সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।

এই আসরে ৩৫১ টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন ও স্টল বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে অংশগ্রহণ করে। মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, জাপান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ৯ টি স্টল প্যাভিলিয়ন অংশ নেয়। এ বছর সেরা স্টল, প্যাভিলিয়ন নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ