টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতিকালে ট্রাক চালক নাজমুল ইসলাম ওরফে আজিমুল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে এ হ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সম্পর্কিত তথ্য প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানায় মির্জাপুর থানা পুলিশ।
হত্যাকান্ডে জড়িতদের মধ্যে দুই আসামি ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। তবে এক আসামি আত্মগোপনে রয়েছে। হত্যাকান্ডেরসঙ্গে জড়িতরা হলেন, মির্জাপুর পৌরসভা এলাকার বাইমহাটি গ্রামের মো. সাইদ মিয়ার ছেলে নাদিম, বাদশা মিয়ার ছেলে ফজল ও মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, বাগজান গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে লাভলু, লতিফপুর ইউনিয়নের বান্দরমারা গ্রামের পাষাণ খানের ছেলে সাদ্দাম, সিংজুরি গ্রামের বোরহানের ছেলে সোহেল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহের শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা বগুড়ামুখী ভূট্টা বোঝাই ট্রাকটি মধ্যরাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানি এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল ট্রাক চালক নাজমুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পেটে আঘাত করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এসময় সঙ্গে থাকা তার শ্যালক তালেব দৌঁড়ে আত্মরক্ষা করে এবং ডাকচিৎকার করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনার পর অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সোমবরা রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অপর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে নাদিম ও সাদ্দাম নামের দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপর চার আসামি ফজল, সোহেল, লাভলু ও ইয়াছিনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাক চালক নাজমুল হত্যা মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিপূর্বে আসামিদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ