ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬

অবৈধ অস্ত্র আনতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক ৩

প্রকাশনার সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৭

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় এস আলম গ্রুপের নির্মিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় প্রায়শই ঘটে মারামারির ঘটনা। আর এতেই সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় স্থানীয় 'কিশোর' গ্যাংসহ প্রভাবশালীরা। তাতেই নিয়মিত অস্ত্রের মহড়া দিতে হয় তাদের। অপরদিকে মহড়া দিতে প্রয়োজন হয় অস্ত্রের। আর শহর থেকে সেই অবৈধ অস্ত্র আনতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এমনই তিনজন স্থানীয়।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত একটার দিকে উপজেলার সাধনপুরের প্রধান সড়কের আল-ফারুক মাদরাসার সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে অটোরিকশা (সিএনজি) থেকে তাদের আটক করে বাঁশখালী থানা পুলিশ।

এ সময় তাদের কাছ দেশীয় তৈরি একটি এলজি, দশ রাউন্ড কার্তুজ, একটি সুইচ গিয়ার (ছোরা) উদ্ধার করে পুলিশ।

আটকরা হলেন, হুমায়ুন কবির (২৪), ফোরকান (৪১), হাবিব উল্লাহ (২০)। আটকদের ৩ জনই উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ সময় খালেক ওরফে কানা খালেক নামে আরেকজন কৌশলে পালিয়ে যায়।

বাঁশখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের কয়লা বিদ্যুৎ এলাকার কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসী বিশৃঙ্খলা করার জন্য চট্টগ্রাম শহর হতে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রওনা করেছে বলে গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। পরবর্তীতে উপজেলার সাধনপুরের প্রধান সড়কের আল ফারুক মাদরাসার সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে একটি অটোরিকশা (সিএনজি) থেকে দেশীয় তৈরি একটি এলজি, দশ রাউন্ড কার্তুজ, একটি সুইচ গিয়ার ছোরাসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আটক আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীতে নিয়মিত অস্ত্র মহড়াসহ বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কার্যকালাপ চালিয়ে আসছিল। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা আদালতে চলমান আছে। অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলাসহ পরবর্তী তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান তিনি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ