ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মিত স্কুলে আসার অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩১

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের মাছুয়া খালি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাশেদা আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়মিত স্কুলে আসার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকেই শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার অধিকাংশ সময় তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন। আর তাকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন এটিও মুজাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও মৌখিকভাবে ডেপুটিশনে দক্ষিণ কবাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের অনুমতি দিয়েছেন শিক্ষিকা রাশেদা আক্তারকে। সেখানে যোগদান করেও তিনি সঠিকভাবে স্কুলে আসেন না।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার অনুপস্থিত। শিক্ষিকার অনুপস্থিত বিষয়ে দক্ষিণ কবাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় দাস বলেন, রাশেদা আক্তার ম্যাডাম আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, স্কুলে আসতে পারবেন না।

তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র বলেন, আমাদের দুইজন স্যার ও একজন ম্যাডাম আছেন। স্যারেরা আসলেও ম্যাডাম একদিন আসেন একদিন আসেন না। তার বাড়িতে কাজ থাকে পাশেই তার বাড়ি। দক্ষিণ মাছুয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এক‌ই কথা বলেন।

শিক্ষিকা রাশেদা আক্তারের অনুপস্থিতিতে তার ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে বসে থেকে আবার চলে যায়। এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক জানান, যোগদান করার পর থেকে শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার প্রতিদিন স্কুলে আসে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষিকা রাশেদা আক্তারের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্কুল কমিটির সভাপতি মো. সোহেল সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, ডেপুটিশনে কবে গেছে আর স্কুলে ঠিকমতো আসেন না বিষয়টি আমার জানা নেই।

এটিও মুজাহিদুল ইসলামের নিকট শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার নিয়মিত স্কুলে আসেন না ও দক্ষিণ মাছুয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ কবাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি আধা কিলোমিটারের মধ্যে কিভাবে পাশাপাশি স্কুলে যোগদান করেছেন আর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই কেন? গত এক সপ্তাহের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেপুটিশনে তাকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর একদিনে গিয়ে করলেই চলে।

রাশেদা আক্তার গত বছর মাছুয়া খালি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। অত্র ক্লাসটারে বরিশাল বাকেরগঞ্জ থেকে ৩০-৪০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শিক্ষকতা করছেন অনেকে তাদেরকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে আধা কিলোমিটার দূরের স্কুল থেকে বাড়ির কাছে ডেপুটেশন দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন এটিও মুজাহিদুল ইসলাম।

রাশেদার আক্তারের ব্যক্তিগত জীবন কল্পকাহিনীতে ভরা স্কুল শিক্ষক স্বামীকে তালাক দিয়ে দুমকি উপজেলার এক ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী দুই সন্তান থাকার পর সেই ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেন, সেই ব্যবসায়ীর সাথে পারিবারিকভাবে একাধিকবার ডিভোর্স হলেও পরে আবারও তার সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

এলাকাবাসী ও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, এটিও মুজাহিদুল ইসলামের কারণে রাশেদা যেমন খুশি তেমন সাজছেন ধরাকে সরা জ্ঞান করেন না। তার যখন মন ধরবে স্কুলে আসবেন, যখন মন চাইবে আসবেন না। স্কুলের নিয়ম-নীতি রাশেদার মনঃপূত না হওয়া শিক্ষকদের এটিও মোজাহিদুল ইসলাম হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এটিও আর শিক্ষকের এই সম্পর্ককে ভালোভাবে দেখছেন না অনেকেই। গুঞ্জন রয়েছে নেতিবাচক।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দক্ষিণ মাছুয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ কবাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটিশনে রাসেদা আক্তারকে দেয়া হয়েছে সাময়িক মৌখিকভাবে, শিক্ষক সংকটের কারণে। তবে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি আমি জানি না, নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে পারব না।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ