২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিন ভাষা আন্দোলনে নিহত শহিদদের স্মরণে নির্মিত শহিদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাঙালি জাতির এমন গর্বের প্রতীক দশমিনা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিনিয়ত চলেছে অবমাননা।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, শহীদ মিনারের আশেপাশে ভবঘুরেদের অবস্থান ও পদচারণা নিষিদ্ধ। এসব নিয়ম-কানুন সম্পর্কিত একটি নোটিশ বোর্ডও রয়েছে। তবে কেউ তার তোয়াক্কা করে না।
শুধু ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটি ছাড়া বছরের বাকি দিনগুলোতে জুতা পায়ে শহিদ মিনারের বেদিতে বসে আড্ডা যেন স্বাভাবিক ঘটনা। এছাড়াও বিদ্যালয় চলাকালীন শহিদ মিনারের সিঁড়ি ও বেদিতে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং বিদ্যালয় ছুটির পরে পেশাজীবী সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও খেলাধুলাসহ নানা অনুষ্ঠানে জুতা পায়ে হাঁটা, ছবি তোলা ও আড্ডা দেওয়ার চিত্র বহুবার দেখা গেছে।
গত কয়েকদিন ধরে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসব চিত্র দেখা গেছে। মানুষের সমাগম বেশি হলে শহিদ মিনারের বেদি ও চারপাশে বেড়ে যায় অপরিচ্ছন্নতা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ঘুরাফেরার সময় হঠাৎ করেই জুতা পায়ে উঠেছি। এটা আমাদের ভুল হয়েছে, বুঝতে পারিনি।
দশমিনা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, শহিদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে প্রবেশ ঠিক না । জুতা পায়ে না প্রবেশ, এটা আমাদের শিষ্টাচার। আমরা যুগে যুগে তা মেনে চলে আসছি। যা আমাদের মানা উচিৎ, বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিন সৈকতকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিজা নাজ নীরা বলেন, এটা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের। উপজেলা প্রশাসনের কোনো বিষয় না এটি।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ