রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। দক্ষ শ্রমিকের অভাবে নানা সমস্যা হচ্ছে কারখানাটিতে। অতি শিগগিরই শুন্যপদ পূরণ করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রেলের অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা এ কাজে জড়িত। রেলের জন্য যেটুকু জমির প্রয়োজন তা দখলমুক্ত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর রেলওয়ে কারখানাটি আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জনবল দিনদিন কমে আসছে। ৩২২০ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ৯৮৩ জন কর্মরত রয়েছে। রেলওয়ে সেতু কারখানায় অতীতে রেলসেতুর গার্ডার তৈরি হতো। কারখানাটিকে আবার সচল করা হবে। ধীরে ধীরে রেলওয়ের সকল সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।
এর আগে সকালে রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান। এরপর মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে কারখানায় স্থাপিত অদম্য স্বাধীনতায় শহিদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে রেলওয়ে অনেক এগিয়েছে। আমাদেরও সেই তালে তাল রেখে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন নতুন রেলপথ স্থাপন ও সেবার মান বৃদ্ধি করে রেলওয়ে যাত্রীবান্ধব করতে হবে। পরে মন্ত্রী কারখানার ২৯টি শপের (উপ-কারখানা) মধ্যে ঘুরে ঘুরে দেখেন ৩টি এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন তিনি। বর্তমান সরকারের রেলপথ মন্ত্রী হিসেবে এটিই তার প্রথম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক পার্থ সরকার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই, পশ্চিম) মুহম্মদ কুদরত -ই খুদা, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ