বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে একটি সংবদ্ধ প্রতারক চক্র বিনামূল্যে সিমের প্রলোভন দেখিয়ে হাট-বাজার ও বাড়িতে গিয়ে অর্ধ-শিক্ষিত, নিরক্ষর (বেশিরভাগ নারী) লোকজনদের কাছে প্রতারণার মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে সিম বিক্রি করছেন।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এই কাজে জড়িত একজনের সাথে কথা হয়। প্রথমে তিনি প্রতিবেদককে একটি সিম গিফট করেন। সিমের পরিচয় কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও জানি না ভাই। আমি চাকরি অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। তবে ডিস্ট্রিবিউটারের নিয়োগ করা (বিপি) ব্র্যান্ড প্রমোটররা সরাসরি এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। কোম্পানি জানে না এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে। জানলে কারো চাকরি থাকার সুযোগ নাই।
সিম কিনতে বা পুরানো সিম তুলতে গিয়ে নিরাপত্তার জন্য যে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটা এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে চলছে প্রতারণা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে প্রতারক চক্র মোবাইল সিমগুলো অনেক দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন জেলায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কাছে। সিম ব্যবহার করে চলে অপকর্ম। সিম ট্র্যাক করলে নিজের অজান্তেই আসামি হয়ে যাচ্ছে নির্দোষ মানুষগুলো। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল অপরাধীরা। এই ফাঁদে যারা পড়ছেন তাদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেয় পুলিশ। জানায় তার বিরুদ্ধে আছে বিস্তর অভিযোগ। সব শুনে আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা নির্দোষ মানুষ গুলোর। আর এ মানুষগুলোকে ছুটতে হয় আদালতে।
মোবাইল সিম কিনতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ২০১৫ সাল থেকে বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার। এটি দিতে হয় মেশিনে, সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ছবি।
সিম ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারের এই একটি সিদ্ধান্ত অপরাধী চক্রকে সুবিধা করে দিয়েছে। একজনের নামে ১৫টা সিম কেনার সুযোগ করে দিয়েছে। এতগুলো সিমের সুযোগ না থাকলে চক্রটি এমন কাজ করতে পারতো না। পাঁচটির বেশি সিম দরকার নেই। দুটি বা একটি হলেই ভালো হয়।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ