ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্ধ কোটি টাকার মাছ জব্দ করে তোপের মুখে এসিল্যান্ড

প্রকাশনার সময়: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১০

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সরকারি খাস পুকুরে জাল টানিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার পোনা মাছ জব্দ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন। পুকুর থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জনগণের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে এই কর্মকতাকে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদমদীঘি সদরের ডহরপুর গ্রামের ৯৪ শতকের বেলগাড়ী নামক পুকুর থেকে এ মাছগুলো জব্দ করার সময় স্থানীয়রা এসিল্যান্ডের উপর চড়াও হয়।

এক পযার্য়ে উত্তেজিত জনগণ উপজেলার গোহাটি ব্রিজের পাশে নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় মহাসড়কের দুই পার্শ্বের যানবাহন চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে।

জানা যায়, উপজেলা জলমহাল কমিটি ডালম্বা পূর্বপাড়া বেকার যুব সমবায় সমিতি লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে বেলগাড়ী পুকুরটি অনুমোদন দিয়ে লিজ প্রদান করেন। লিজ মতে ২ বছর ১০ মাস ধরে ওই পুকুরে সমিতি কর্তৃপক্ষ মাছ চাষ করেও আসছে।

আদমদীঘি ডালম্বা পূর্বপাড়া বেকার যুব সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, লিজের চার হাজার ৫শ টাকা বকেয়ার অজুহাত দেখিয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষকে কোনো প্রকার নোটিশ না করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন ফোর্সসহ আমাদের সমিতির নামে ডহরপুর বেলগাড়ী সরকারি খাস পুকুরে জাল টানিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার পোনা মাছ জব্দ করেছেন। বাংলা ১৪২৮ হতে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত খাস পুকুরটি বৈধভাবে লিজ নেয়া রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকতা রায়হানা জান্নাত বলেন, গত তিন বছরের এই পুকুরটির লিজের কোনো কাগজ আমরা পাইনি। সমিতির লোকেরা বলছে, ওনারা ডিসিআর কেটেছে কিন্তু আমাদের এখনো ডিসিআর বের হয়নি। যার কারণে গত তিন বছর যাবৎ এই পুকুরটি কেউ লিজ নেয়নি।

অভিযানের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন বলেন, এই পুকুরটি কারো নামেই লিজ হয়নি। সরকারি এই পুকুরটি বিনা লিজে দীর্ঘ দিন যাবৎ পড়ে ছিল। যার কারণে পুকুরের মাছ ধরে তা বিক্রিয় করে সরকারি কোষাগাড়ে জমা দেওয়া হবে। তবে পরবতীর্তে তাকে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অভিযানের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনারের উপর জনগণ চড়াও হয়েছিল ও মহাসড়ক অবরোধের বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ মোবাইল ফোনে বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনারের উপর চড়াও করার বিষয়টি জেনেছি। তবে আর মোবাইল ফোনে কোনো বক্তব্য দিতে তিনি রাজি হননি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ