ময়মনসিংহে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ৭ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জন। তারা এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে সদরের ঈশ্বরদীয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন।
নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহে ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুরের আশাবট গ্রামের নূরুজ্জামান বাবলু (৪৫), তার স্ত্রী শিলা আক্তার (৩৫), তাদের শিশু সন্তান মো.সাদমান (৭) এবং সিএনজি চালক একই উপজেলার অটোরিকশা চালক আলামিন সরকার (২৫)। বাকি তিন জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার নুরুজ্জামান বাবলু তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়ায় এক আত্মীয়ের জানাজায় যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর বড়বিলা এলাকায় পৌঁছলে শেরপুরগামী একটি বাসের সাথে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ অটোরিকশার ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর একঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল সিএনজিটি। পথে আর একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করে যাওয়ার সময় বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজিটি সড়কের মাঝখানেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা দৌড়ে এসে তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন সবাই মৃত।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। দুর্ঘটনার পর বাসটি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন বাসটি আটক করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক পলাতক রয়েছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে এবং এ ঘটনার তদন্তে কমিটি করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ