সুন্দরবনের খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা বাঘটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। ইতোমধ্যে বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে করমজলে। সেখানে সংরক্ষণ করা হবে বাঘটির চামড়া ও কঙ্কাল।
বন বিভাগ জানায়, সোমবার রাতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার একটি খাল থেকে বাঘের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫৫ কেজি ওজনের মৃত বাঘটি পুরুষ, বয়স আনুমানিক ১৫। বাঘটির শরীরে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। করমজল ইন্টারপ্রিটেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও কয়েক দিন লাগবে। বাঘটির দেহাবশেষ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুন্দরবনের করমজলে সংরক্ষণ করা হবে। সেখানে করমজল ইন্টারপ্রিটেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বাঘটি।
এদিকে মৃত বাঘটির চামড়া ও কঙ্কাল সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাঘের শরীর থেকে চামড়া ও হাড় থেকে মাংস পৃথক করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাংস ফেলে দিয়ে হাড়গুলোকে সিদ্ধ করা হবে। তারপর সেই হাড়কে পরিষ্কার করে সব হাড় যুক্ত করে বাঘের অবয়ব তৈরি করা হবে। সব কাজ শেষ হলে বাঘটির চামড়া ও কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবসের এক আলোচনায় বন রক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, একটি বাঘ বনে থাকলে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ বছর জীবিত থাকে। তারপর বৃদ্ধ হয়ে যায়, শিকারের সক্ষমতা থাকে না, মারা যায়।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ