জেলখানায় পরিচয়, পরে বের হয়ে ফ্ল্যাট বাসায় দিন-দুপুরে দস্যুতা করতে গিয়ে ধরা খেল ৪ যুবক। তাদেরকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার চক্রবর্তীরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান তার কর্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার বেতেঙ্গা এলাকার মতিউর রহমান ওরফে মতিন খান (৩৩), একই থানার চরকৃষ্ণপুর এলাকার শরীফ শেখ (২৪), মাগুরার শালিখা থানার কাতুলী এলাকার ইসমাইল প্রতীম (৩৭) এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার কোদালিয়াপাড়া এলাকার কবির হোসেন (৩৫)।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান জানান, কাশিমপুর থানার চক্রবর্তীরটেক এলাকার বালুরমাঠ সংলগ্ন দেবাশীষ বিশ্বাসের ফ্ল্যাট বাসায় গত মঙ্গলবার দুপুরে দস্যুতা হচ্ছে। এমন খবরে পুলিশ সেখানে গিয়ে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন কর্তৃক ধৃত ওই ৪ জনকে আটক করে। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় ওয়ান স্যুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি, দুইটি মাথা চেপ্টা ও ধারালো লোহার রড এবং লুণ্ঠিত একটি স্বর্ণের চেইন
জব্দ করা হয়।পুলিশের ওই কর্মকর্তা আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জানান, বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় থাকাকালে তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয়। জেল থেকে মুক্তির পর তারা অস্ত্র সংগ্রহ করে দস্যুতা সংঘটনের জন্য পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওইদিন দুপুরে তারা দেবাশীষ বিশ্বাসের ফ্ল্যাট বাসায় যায়। দরজায় নক করলে গৃহকর্তার স্ত্রী দরজা খোলা মাত্রই তারা জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে দেবাশীষ বিশ্বাসের স্ত্রী ও বড় মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারপিট শুরু করে। এসময় মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘর তছনছ ও বড় মেয়ের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে ওই ৪ যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ ব্যাপারে গৃহকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস কাশিমপুর থানায় অস্ত্র ও দস্যুতা আইনে দুটি মামলা করেছেন।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ