দশমিনায় সবুজ লতায় মোড়ানো বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তরমুজ গাছ। ফাঁকে ফাঁকে ফলও ধরেছে কোনো কোনো গাছে। কিন্ত হঠাৎ করেই শেকড় নিস্তেজ হয়ে একের পর এক মরছে গাছ। বালাইনাশক প্রয়োগেও হচ্ছে না কোনো সমাধান।
দক্ষিণা লে তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিত দশমিনা। এই এলাকায় অজানা কারণে মরছে তরমুজ গাছ। ফলে বিপাকে পড়েছে উপজেলার তরমুজ চাষিরা। এটি কোনো রোগ নাকি ভাইরাস-তা এখনও নির্ণয় করতে পারেনি কৃষি বিভাগ। তবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
এই মুহূর্তে খুবই অল্প পরিসরে গাছ আক্রান্ত হয়েছে। তবে এর পরিধি যেন না বাড়ে এজন্য গাছ মরে যাওয়ার কারণ নির্ণয় করতে বিশেষজ্ঞদের গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে দাবি কৃষকদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী চরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে ৭০ জন চাষি প্রায় সাড়ে ৮৭ একরে তরমুজ আবাদ করছেন। এ চরের ফলন্ত তরমুজ গাছ অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়ার ঘটনা বেশি।
কাটাখালী গ্রামের তরমুজ চাষিরা বলছেন, আক্রান্ত গাছ উপড়ে ফেলে দিতে হচ্ছে। তা নাহলে পাশের গাছও আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
কাটাখালী চরের তরমুজ চাষি মো. রাসেদুল ইসলাম বলেন, আমি তিন কানি জমিতে তরমুজ দিছি। তিন ভাগের একভাগই মরে গেছে। এখন দুই ভাগ আছে। তাও একের পর এক শেকড় এবং পাতা শুকিয়ে মরছে। এটার কারণ যে কি বুঝি না। পানি দিচ্ছি, ওষুধ ব্যবহার করছি-কোনটাতেই কোনো কাজ হচ্ছে না। অনেক টাকা খরচ করতেছি। ফল আশার সময় গাছ মরে যাচ্ছে। আমার কি হবে জানি না। লোকসান হবে দান দেনার কি করবো বুঝতেছি না।
চাষি রুবেল আকন বলেন, একই জমিতে কয়েক বছর যাবৎ তরমুজ চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া আর শেষ মুহূর্তে বৃষ্টির ফলে এমন হয় কি না জানি না। সবাই-ই দাদন আর ঋণের টাকা এনে তরমুজ চাষ করছে। এখন লোকসান হলে তো আমরা মাঠে মরবো।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, অতিরিক্ত সার এবং বালাইনাশক প্রয়োগ ও একই জমিতে বার বার তরমুজ আবাদ এর ফলে গাছ মরে যাওয়ার কারণ প্রাথমিকভাবে হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সঠিক কারণ নির্ণয় করতে বিশেষজ্ঞদের গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। মাঠপর্যায়ের কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ