ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬

ভাইয়া অ্যাপারেলস ইডির ওপর হামলা, কুমিল্লা ইপিজেডে আতঙ্ক

প্রকাশনার সময়: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৮

চাঁদা না দেওয়ায়, কুমিল্লায় সোহেল আহম্মেদ নামে ভাইয়া অ্যাপারেলসের নির্বাহী পরিচালকের (ইডি) ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় এ হামলা চালানো হয়।

সেইসঙ্গে তাকে ‘তুই যদি কখনো ইপিজেডমুখি হস, তাহলে তোর লাশ পড়বে’- এই বলে হুমকিও দেয় সন্ত্রাসীরা।

জানা গেছে, ওই রাতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের পাশে ভাইয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সোহেল আহম্মেদের ওপর সাত-আট জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভাইয়া গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জানান, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা। চাঁদাবাজি, লোকাল সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নিম্নমানের পণ্য ক্রয়, ইপিজেডের প্রবেশ পথে নির্মাণ সামগ্রীর গাড়ি আটকে রাখাই যেন এখানকার স্বাভাবিক ব্যাপার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কর্মচারীরা তাদের জানমাল নিয়ে সার্বক্ষণিক আতঙ্কিত থাকেন।

ইতোপূর্বে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে কুমিল্লা ইপিজেডে ভাইয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় বলেও অভিযোগ করেন সাখাওয়াত হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে কুমিল্লা ইপিজেড কেন্দ্রিক স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কাউসার ও বাবু গং জড়িত থাকতে পারে। এ সন্ত্রাসী চক্র ইতোপূর্বে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদার দাবিতে হুমকি দেয়।

শাখাওয়াত হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলতে থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়বে এবং সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় কুমিল্লা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ভাইয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বন্ধ করে দেয়।

এতেই সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল আহম্মেদের ওপর হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে জানিয়ে ভাইয়া গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, হামলা শেষে সন্ত্রাসীরা সোহেল আহম্মেদকে বলে ‘তুই যদি কখনো ইপিজেডমুখি হস, তাহলে তোর লাশ পড়বে’। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জানান তিনি।

ভাইয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইপিজেডের কার্যক্রম পরিচালনা করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপসহ ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ