ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২৫ কেজি ওজনের ভোল মাছের দাম ৫ লাখ!

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৪ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪

গহীন সুন্দরবনে ধরা পড়া ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের একটি জাভা ভোল মাছ ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী দাতিনাখালী এলাকার শুকুর আলী ও বাবুদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাগেরহাটের মোংলার বেলায়েত সরদার মাছটি ক্রয় করেন।

এর আগে সোমবার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ এলাকার আবু মূসাসহ আরো কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী মাছটির দাম করেন ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তবে বিক্রেতারা মাছের দাম চান সাড়ে ছয় লাখ টাকা।

জেলে বাবু বলেন, আমার জীবনে এই প্রথম এতো বোড় জাভা ভোল মাছ পেয়েছি। মাছটি পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু মাছ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেশি ওঠেনি। বাইরে থেকে এই মাছ কিনতে পার্টি আসতে দিচ্ছে না স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা। তাই সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি দাম ওঠেনি। পরে সাংবাদিক রাজিব ভাইয়ের ফেসবুক পোস্ট দেখে বেলায়েত সরদার ৫ লাখ টাকায় মাছটি কিনে নিয়েছেন।

মাছের এই অস্বাভাবিক দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে মাছ ব্যবসায়ী আবু বাক্কার বলেন, এই মাছের ফুলকোর দাম অনেক বেশি হওয়ায় মাছটির দাম বেশি।

তিনি আরও বলেন, এই মাছ থাইল্যান্ড, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে অনেক উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়। সেসব দেশের মানুষ এই মাছের ফুলকো দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খায়। এর ফুলকো সাত শ’ গ্রাম থেকে আট শ’ গ্রাম হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে।

জেলে শুকুর আলী বলেন, সোমবার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ বাজারে তুলেছিলাম, কয়েকজন দাম বলেছিল সাড়ে ৩ লাখ টাকা। একটি সিন্ডিকেট চেয়েছিলো যাতে মাছটি বেশি দামে বিক্রি না হয়। পরে মোংলার বেলায়েত সরদার ভাই মাছটি ৫ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন। যে দাম পেয়েছি তাতে আমি খুশি।

মাছ ক্রেতা বেলায়েত সরদার বলেন, আমি সুন্দরবনে কাজ করি। সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালি ও মৌয়ালদের কষ্ট বুঝি। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও বরগুনার পাথারঘাটার একটি সিন্ডিকেট কাজ করে সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছ যাতে বেশি দামে বিক্রি না হয়। লাভ-ক্ষতি যাই হোক, আমি সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিলাম। ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রামের মাছটি ৫ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এই মাছের ফুলকোর অনেক দাম। বিভিন্নভাবে জেনেছি, এই ফুলকো দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়। এই মাছের স্যুপ তৈরি হয়। সেটা অনেক দামে বিক্রি হয়। এই মাছটি কত দামে বিক্রি হয়, সেটা এখন বলতে পারছি না। আশা করছি মাছটি বিক্রি করে কিছু টাকা লাভ হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ