ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬

সীতাকুণ্ডে একের পর এক ডাকাতি, জনমনে উদ্বেগ 

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত একমাসে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাদ যায়নি সাংবাদিকের বাড়িও। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে বেড়েছে আতঙ্ক। রাত হলেই গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

এরই মধ্যে উপজেলার পৌরসভা এলাকায় দৈনিক আজাদীর অনলাইন প্রতিনিধি ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধির বাড়িতে গভীর রাতে হানা দেয় ডাকাত দল। লুট করে নিয়ে যায় নগদ টাকাসহ-স্বর্ণালঙ্কার। এ সময় দুজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত তিনটার দিকে উপজেলার সীতাকুণ্ড পৌর সদরের শেখপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন ও পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং দৈনিক আজাদীর অনলাইন প্রতিনিধি শেখ সালাউদ্দিন বলেন, শেখপাড়া এলাকায় আমার বাড়িতে রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল হানা দেয়। নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ ও পাঁচটি মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যায়।

থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

শেখ সালাউদ্দিন আরও বলেন, এসময় পরিবারের সদস্যদের জিন্মি করে আলমিরাসহ ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে দেয় তারা। তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে আমার ভাই রাসেল এবং মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীরকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তারা সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়।

ভুক্তভোগী রাসেল বলেন, রাত তিনটার দিকে আমি বাথরুমে ছিলাম। তখন রুমের দরজা খোলা ছিল। এ সময় দরজায় ধুমধাম আওয়াজ হচ্ছে। তখন আমার স্ত্রী বলছে, ডাকাত ডাকাত। এরপর পিছনে ঘুরতেই দেখি ৫-৬ জন হাফপ্যান্ট পরা ডাকাত দলের সদস্য। তখন তারা আমাকে বলে চুপ, আওয়াজ করলে কুপিয়ে দিবো। ডাকাতদের হাতে রাম-দা, লোহার ক্রিস ও খনতা ছিল। এরপর আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ সবাইকে হাতে-পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। বাড়িতে কাজের জন্য ১ লাখ টাকা এনে রেখেছিলাম। আলমিরা ভেঙে স্বর্ণের চেইনসহ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণলংকার এবং ১ লাখ চল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। এরা ১২-১৪ জন ছিল। কয়েকজনের মুখ খোলা থাকলেও অন্যরা মুখোশধারী ছিল। তাদের সবার ভাষা অন্য জেলার (উত্তরবঙ্গ)।

অন্যদিকে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ফেদাইনগর এলাকায় একুশে টিভির বিশেষ প্রতিনিধি হাসান ফেরদৌসের বাড়িতে ডাকাত দল হানা দিয়েছিল। পরদিন সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।

গত একমাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনায় ঘটেছে। এসব ঘটনায় এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে ডাকাতরা।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ