নড়াইল জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও দুর্বব্যবহারের অভিযোগ এনে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিবের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১১ ফব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরাবর এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয় নড়াইলের ৩২জন সংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও ব্যবসায়ী। এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এমএম আরাফাত হোসেন।
জানা যায়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নড়াইলের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর কাছে জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে একটি স্মারকলিপি দেন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এমএম আরাফাত হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন ।
আরও জানা যায়, বর্তমান জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমান ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিল্পী, বিচারক ও কলাকুশলীদের জন্য সরকার নির্ধারিত সম্মানি দেন না। এমনকি অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দের চার ভাগের একভাগও খরচ করেন না। গত বছরের মাঝামাঝি জেলা শিল্পকলা অডিটরিয়ামের লাইটিং, সাউন্ড, ইলেকট্রিক ও ভবন সংস্কারের ১০ লাখ টাকার কাজ হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ কাজ খাতা-কলমে টেন্ডার দেখিয়ে মূলত নিজেই করেছেন। যোগদানের এক বছরের মধ্যে দূর্নীতি করেছেন প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীতের বিভিন্ন শাখার ক্লাস চলাকালীন সংগীত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে তিনি অসদাচরণ করে থাকেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নড়াইলের সভাপতি মলয় কুন্ডু বলেন, তিনি যে একজন দূর্নীতি পরায়ন অফিসার তা এখন স্বীকৃত। তাকে আমরা নড়াইলে একদিনও দেখতে চাই না। তাকে অপসারণ করা না হলে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বৃহত্তর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
জেলা কালচারাল অফিসার মো. হামিদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, জেলা কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/টিএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ