ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

বাড়ি ফেরা হলো না যুবলীগ নেতা মুরাদের

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

রাতে নিজ এলাকার বাজার থেকে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেন। পথে তার ওপর হামলা হয়। আর বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। এই হামলায় মারা গেছেন তিনি।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ নওয়াপাড়ার সরদারপাড়ার শাহাবুদ্দিন ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে, রাতে নওয়াপাড়া বাজার থেকে তরফদার পাড়ার বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন মুরাদ। পথে কবরস্থানের কাছে এলে তার ওপর হামলা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে নেওয়া হয় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই বিএম ফরহাদ হোসেন বলেন, আমার ভাই রবিন অধিকারী বেচার সঙ্গে চলাফেরা করতো। তাছাড়া যুবলীগের পদ-পদবী নিয়ে এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। আমার ভাই নওয়াপাড়া বন্দরের একটি ঘাটের সরদার। ওর উপর এর আগেও দুইবার হামলা হয়েছে। এলাকার কিছু সন্ত্রাসীরা কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে ওকে হত্যা করার হুমকিও দেয়। অনেকদিন ধরে আমার ভাইয়ের ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা করছিল, শেষমেশ গতকাল রাত ১০টার দিকে মুরাদ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় রাস্তায় আমার ভাইকে একা পেয়ে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতের বড় বোন লিলিমা বেগম বলেন, আমার ভাই অ্যাম্বুলেন্সেই মরার আগে সবার নাম বলে গেছে। কারা কারা ওরে মেরেছে সবকিছু বলে গেছে। ওরা চৌদ্দ জন মিলে আমার ভাইকে মেরেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

তিনি বলেন, মুরদাকে এখান থেকে আহত অবস্থা প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খুলনায় নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি মারা যান।

নিহতের বাবা সাহাবুল ইসলান বলেন, রাজনৈতিক পদ-পদবি কারণে আজকে আমার ছেলেটাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। আমার ছেলে কাছে এই এলাকার কেউ বিপদে পড়ে এসে কোনোদিন ফিরে যায়নি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত মরদেহ খুলনায় রয়েছে। ময়নাতদন্ত হওয়ার পর মরদেহ আসবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। আমাদের তদন্ত চলছে।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ