শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারত সীমান্তঘেষা বিনোদন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে শীতের শেষ মুহূর্তেও। আনন্দমুখর পরিবেশে প্রকৃতির স্নিগ্ধ ভালবাসা পেতে এ পার্কে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পার্কটি। প্রকৃতির সান্নিধ্য আর প্রাণ খুলে নির্মল বায়ুর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সবাই ছুটে আসছেন এখানে। সীমান্তবর্তী এই পার্কের চারপাশে রয়েছে উচু-নিচু পাহাড়ি টিলা, কৃত্রিম লেক আর সবুজ বনানী। কংক্রিটে গড়া শহর ও নগর জীবনের কোলাহল থেকে প্রকৃতিতে হারাতে আসছেন এই ভ্রমণপ্রেমীরা।
পার্কটির মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে যেতেই চোখে পড়বে সারি সারি গাছ। রাস্তার ডান পাশে খোলা প্রান্ত আর দুইপাশে রকমারি পণ্যের দোকান। সামনের ক্যান্টিন পার হলেই পাহাড়ি ঢালু রাস্তা। তারপর হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্যকন্যা, মাছ ও পশুপাখির ভাষ্কর্য। পাশের আঁকাবাঁকা পথে ঘন গাছের সারি চলে গেছে লেকের দিকে। তারপর কৃত্রিম লেকের উপর দেশের অন্যতম স্টার ব্রিজ। এ ব্রিজে দাঁড়িয়ে ছবি আর সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেন ভ্রমণপ্রেমীরা।
এসময় ভ্রমণে প্রাণ পায় নবচেতনা। মন হারিয়ে যায় যেন প্রকৃতির মাঝে। প্যাডেলবোটে চড়ে লেকে ঘুরাফেরার পর পাহাড়ের চূড়ায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠলেই নজর কেড়ে নেয় ভারতের উঁচু-নিচু পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। প্রকৃতির এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন ঘুরতে আসা মানুষ। পাশাপাশি রয়েছে আরামদায়ক গেস্ট হাউজ।
ভ্রমণার্থীরা বলেন, মধুটিলা ইকোপার্কে ঘুরতে এসে পাহাড়ি সবুজ বন-বনানী ও অন্যান্য স্থাপনা দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি।
পার্কের ইজারাদার প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন ও বাবলু বলেন, এই বছর হরতাল-অবরোধ, জাতীয় নির্বাচন থাকায় ভ্রমণার্থীরা আসতে পারেনি। তাই আমাদের অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে এই শীতের শেষ মুহূর্তে কিছু লোক আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এই উপচে পড়া ভিড় শেষ অবদি কতদিন থাকবে, তা দেখার বাকি।
নয়া শতাব্দী/টিএ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ