চুয়াডাঙ্গায় পাবলিক পরীক্ষায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে সালমা খাতুন (২৪) নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন উপজেলার রাধিকাগঞ্জের জহুরুল হকের মেয়ে। আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, শনিবার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২১ সালের বিএ/বিএসসি চতুর্থ বর্ষের সমাজতন্ত্র-৩ বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এ পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তার পরিবর্তে প্রক্সি হিসেবে পরীক্ষা দিতে আসেন সালমা খাতুন। বিষয়টি টের পেয়ে সালমা খাতুনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারা অনুযায়ী সালমা খাতুনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২শ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
নয়াশতাব্দী/টিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ