ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করাই কাল হলো যুবকের!

প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে ইভটিজিং করে আসছিল একদল তরুণ। প্রতিবাদ করায় মো. সুমন মিয়া ওরফে ফুলমিয়া (১৮) নামের এক যুবককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটেরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উত্তর গোবিন্দপুর লুৎফুর রহমান মানিক প্রফেসরের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে আহত মো. সুমন মিয়া ওরফে ফুলমিয়াকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ বিষয়ে হোসেনপুর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৭-৮ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত সুমনের মা মোছা. রুনা আক্তার।

আসামিরা হলেন- ওই এলাকার মো. হাশেম উদ্দিনের ছেলে মো. ছানাউল্লাহ (১৮), মো. কাজল মিয়ার ছেলে মো. রামিন মিয়া (১৭) এবং মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. হাসেম উদ্দিন (৪৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ইভটিজিং করে আসছিল।

আহত সুমন এই প্রতিবেদককে জানান, এক মাস আগে তার খালাতো বোন মাদরাসাছাত্রীকে ইভটিজিং করার ঘটনায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসামিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এর জেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বাকচান্দা বাজারে যাওয়ার সময় ছানাউল্লাহ, রামিন মিয়া ও হাসেম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি বখাটের দল তার পথরোধ করে। তারা এসময় অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে সুমনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় বখাটেরা।

পরে স্থানীয়রা চিৎকার শুনে আহত সুমনকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকার শত শত নারী-পুরুষ।

হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের পর আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ