মেহেরপুরের গাংনীতে ভুয়া চিকিৎসকের হাতে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সুজন হোসেন নামে এক ভুয়া চিকিৎসকের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ওই চিকিৎসকের নাম সুজন হোসেন। তিনি উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বাওট গ্রামের মনিরুল ইসলামের দুইদিন বয়সী নবজাতক শিশুর চিকিৎসার জন্য মহাম্মদপুর গ্রামের হালিমা ফার্মেসিতে নেওয়া হয়। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বার ছিল। শরিফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে সুজন হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিজেকের ডাক্তার দাবি করে নবজাতকের চিকিৎসা দেন। কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধসহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ সেবন করানোর পর নবজাতক আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকেলে নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই ফার্মেসিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সুজন হোসেনের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতির বিষয়ে কোনো বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি জানিয়ে আদালত সূত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে প্রমাণ হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ এর ১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
নয়াশতাব্দী/টিএ/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ